• Breaking

    Computer programming । প্রোগ্রামিং চিন্তন #1 । কিভাবে কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে নিজের আয়ত্বাধীন আরেকটা ভাষার মতো ব্যাবহার করতে পারবেন । Syltechlab ।

    আসসালামু আলাইকুম!
    স্বাগতম ।
    ----------------------------------------------------------------------------------
    শুরু করি।।...।।
    -------------------------------------
    • যারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে চান তাদের জন্য এই সিরিজ! কিভাবে কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে নিজের আয়ত্বাধীন আরেকটা ভাষার মতো ব্যাবহার করতে পারবেন এবং সর্বোপরি কম্পিউটারের সাথে কিভাবে মানুষের মতো কথা বলতে পারবেন সে বিষয়ে সহজবোধ্য এবং বাস্তবভিত্তিক ধারণা দেওয়াই এই সিরিজের মূল উদ্দেশ্য!
      #পর্বঃ ১ একটা ছোটো গল্প বলি! সময়টা সম্ভবত 2006 কি 2007 সাল! আমার বাবা তখন একবার ট্রেনিং এর জন্য ঢাকা আসেন! আমরা তখন থাকতাম ৈভরব শহর থেকে প্রায় ২৩ কিলো দুরের এক মফস্বল এলাকায়! তো ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় তিনি একটা মোবাইল ফোন কিনে নিয়ে যান! Nokia E72 মডেলের ক্যামেরা ফোন! আমার দেখা প্রথম রঙিন ডিস্পলের ফোন! উনি সিলেট থাকা অবস্থায় আমরা সুনামগঞ্জে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছিলাম! সম্ভবত স্কুল ছুটি ছিলো! আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকায় তিনিও ্সিলেট থেকে সরাসরি বাড়িতেই যান! আমরা মিলেনিয়াল ছেলে মেয়েরা সেসময় বাইরে থেকে কেউ এলেই আগে চেক করতাম যে কি নিয়ে এসেছে! আত্মীয়দের বেলায়ও তাই! এখনকার মতো এতো ভদ্রতা তখন ছিলোনা! কিন্তু কোনোকিছু নিয়ে আসার ফর্মালিটিটা তখনও ছিলোই! তো আমার বাবাও সাথে করে কিছু খাবার দাবার আর কাপড় চোপড় নিয়ে আসছিলো সম্ভবত! আমার খাবারের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকলেও কাপড়চোপড়ের প্রতি কোনোদিনই তেমন আগ্রহ ছিলোনা! সবার শেষে বের হলো ফোন! বাবার পকেট থেকে! আর আমার সমস্ত আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো ওই একটা জিনিশই! আমি অভিভূত! বাবা হাতে দিয়েছিলো! কিন্তু... সমস্যা হলো আমাদের গ্রামে তখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি! তাই বাধ্য হয়ে ১০-১২ মিনিট ঘেঁটেঘুঁটে আগ্রহ দমিয়ে রাখতে বাধ্য হইছিলাম! তারপর আমি ছটফট করতে লাগলাম কখন ৈভরব ব্যাক করবো! কিন্তু মজার বেপার হলো আমি ৈভরব যেতে চাইতামনা! এখনো! বাড়ি গেলে আর ৈভরব যেতে ইচ্ছে করতোনা! কিন্তু সেবার ওই ফোন ঘাঁটার লোভেই ওরকম মনোভাব হইছিলো! পরদিন যথারীতি ৈভরব ব্যাক করলাম! বাবা ৯ টা ৫ টা অফিসে থাকতো! তারপর এসে পরিবারে সময় দিতো কিংবা অফিসের কাজ করতো! (বদ অভ্যাস! আমারও আছে!) আর আমি ওই সুযোগে ফোনটা নিয়ে বসে যেতাম! প্রথম আগ্রহ ছিলো গেম এ! তো গেমই খেলতাম মূলত! রঙিন, লম্বা, স্টোরি ওয়ালা গেম! প্রথম প্রথম বিষয়টা স্বাভাবিক নিতো! ফোন ইউজ করতে দিতো! কিন্তু কদিন যাওয়ার পর শুরু হলো বাধা! বিশেষ করে মা এটা করতো! যাইহোক, একদিন আমি ঘাঁটতে ঘাঁটতে আবিষ্কার করলাম যে একটা মেনুতে (সম্ভবত Browser এর Bookmark মেনুতে! তখন Browser কি জানতাম না) লেখা ছিলো "Download games & application" এই টাইপের কিছু একটা! আমি ইংরেজিতে ছোটোবেলা থেকেই মোটামুটি ভালো ছিলাম! তাই এটা বুঝে যাই যে এরকম আরও গেম ডাউনলোড করা যাবে! কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন জিনিশটা কি বুঝিনাই তখন! যাইহোক ওটাতে ক্লিক করলাম... বলে Please configure WAP/Internet! অনেকবার ঘুঁতালাম! একই কথা বলে! কয়েকবার যাওয়ার পর মেসেজটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম! WAP কি বুঝিনাই, internet হালকা! Something something! Fortunately ওখানে বলা ছিলো যে to get configuration details contact your network service provider! আমি সেদিন আর বেশি ঘাঁটিনি! ফুল অন মিশন শুরু হলো তার পরদিন থেকে! তার কারণটাও ছিলো আমার প্রথম প্রেম, কসমোলজি! একটা পেপারের আর্টিকেলের নিচে নাসার ওয়েব সাইটের এ্যাড্রেস দেওয়া ছিলো! হয়ে গেলো! আমার ওটাতে ঢুকতেই হবে! কিন্তু... গেলাম যেখান থেকে ফ্লেক্সিলোড দেই সেই দোকানে! আংকেলকে বললাম ইন্টারনেট কিভাবে একটিভ করবো! উনি গ্রামীণফোন এর ইন্টারনেটের লিফলেট ধরায় দিলেন একটা! বাসায় এসে ওই অনুযায়ী চেষ্টা করলাম! EDGE P1 লিখে পাঠালাম ৫০০০ নাম্বারে! সাকসেসফুল! কিন্তু সমস্যা হলো তারপরের স্টেপে গিয়ে! Internet configuration বা APN configuration এর মেসেজটাতে! যেভাবে বলা আছে সেভাবেই লিখে পাঠালাম কিন্তু ফিরতি মেসেজে বলে incorrect format! আমি আমার ভুল কিছুতেই বের করতে পারছিলামনা! কিন্তু ইনস্যানদের মতো মেসেজ দিতেই আছি! মোবাইলে ব্যালেন্স ছিলো ১২০ টাকার মতো! তারমধ্যে ৯০ টাকা গন! টেনশন! বাবা তো আজ ধরে দিবানে! ঠিক ওই সময়ে আমার এক বন্ধু আমাকে ডাকলো! কেন জানি ফোনটা নিয়েই বের হলাম! স্কুলের মাঠে গেলাম! ওখানে দেখি আরেক ফ্রেন্ডের বুয়েট পড়ুয়া বড়োভাই বসে! ওনাকে বললাম ভাইয়া দেখেন তো কি সমস্যা! আমি সব হুবহু করছি তারপরও হচ্ছেনা কেনো! উনি নিজে একবার পাঠালেন! ফলাফল সেইম! তারপর উনি মেসেজটা পড়ে দেখলেন! তারপর মেসেজ অপশনে গিয়ে জাস্ট Font size টা Large ছিলো উনি Normal করে দিয়ে আরেকটা মেসেজ দিলেন! Voila! Internet active! প্রথম সাইটটা ছিলো configuration default homepage: wap.gpsurf.net 😛 কিন্তু আমি নিজে প্রথম nasa.gov এই ঢুকি! But... লোড নিতে নিতে বারো অবস্থা! অর্ধেকও লোড হয়নাই দেখি উপরের GPRS চিহ্নটা আর নাই! 😔 দেখি ফোনে ব্যালেন্স 0.00!🥴 ভাবছিলাম বাসায় গেলে বাপে পেঁদানি দিবে! কিন্তু কিছু কয়নাই! (আমার বাবা শিক্ষার বেপারে বরাবরই appreciative! আমি Internet ইউজ করা শিখছি শুনেই সাতখুন মাফ! সেদিনকার মতো!) এরপর থেকে শুরু হলো! প্রতিটা দিন প্রায় ২০-৩০ টাকা নষ্ট করতাম ওই ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ! হুদাই! মাঝেমধ্যে এমাউন্টটা বেশি হয়ে যেতো, বাপে সেদিন একটু ঝাড়িটাড়ি দিতো! ঠিক এমনই একদিন gpworld সাইটেই দেখি সবার নিচে বাংলাতেই লেখাঃ ইন্টারনেট খরচ কমাতে Opera Mini ডাউনলোড করুন! করলাম! প্রথম Java Application! 😛 ওপেন করে দেখি অনেক ফাস্ট আর রেস্পন্সিভ! টাকাও কম কাটে! Built in ব্রাউজারে নাসার সাইট লোড নিতোনা কিন্তু এই Opera Mini তে নিলো খুব সহজেই! উফফ! সেই অনুভূতি! যাইহোক, এই অপেরা মিনি একদিন আমাকে আপডেট করতে বলে! ক্লিক মারলাম, ওদের সাইটে নিয়ে গেলো! গেলাম! ওখানে ডাউনলোড পেজে Download এর নিচে Alternate Download নামে একটা লিংক ছিলো! ওটাতে ক্লিক করি কৌতূহল বশতই! ওখানে অনেক ধরণের অপশন ছিলো (Symbian)! যাইহোক, এই সিম্বিয়ানের ভার্সন ডাউনলোড দিতে গিয়ে বললো you need Symbian operating system enabled handsets! To view the list of all Symbian supported handsets, click here! ওকে! করলাম! দেখি সিমেন্সের শুধু দুইটা মডেল ছিলো! C5 & E72! Google ঢুকে মারলাম Opera Mini for E72! প্রথমটা অফিশিয়াল সাইট ছিলো! অলরেডি ভিজিট করা হইছে! তাই দুই নাম্বারটাতে ঢুকলাম! হাঙ্গেরিয়ান লেখা! তারপরও বোঝা যাচ্ছিলো কিছু কিছু! নিচে একটা ডাউনলোড লিংক ছিলো Opera Mini Mod নামে! দেখি ফাইল সাইজ ১২০ কিলোবাইটের মতো! কিন্তু অফিশিয়াল অপেরাটার সাইজ ছিলো ৯০ কিলোবাইটের মতো! আমার কেন জানি মনে হইছিলো যে এই Opera Mini Mod এ এক্সট্রা কিছু একটা আছে! (কমনসেন্স 😉) যাইহোক, ডাউনলোড দিলাম! ইন্সটল করলাম! ওপেন করে দেখি অনেক মেনু! অনেক ফাংশন! দেখি ফাইল ম্যানেজারও আছে! আরও অনেককিছু! কিন্তু আমার টার্নিং পয়েন্ট ছিলো এই ফাইল ম্যানেজারটাই! এবং এর ভিতরের Text Editor টা! আমি একদিন ভুল বশত একটা ১০ কিলোবাইটের jar ফাইলকে এক্সট্রাক্ট করছিলাম! অন্য একটা zip ফাইলকে সিলেক্ট করতে গিয়ে ওই jar ফাইলটা সিলেক্ট হয়ে যায়! এবং এক্সট্রাক্ট হয়ে যায়! ফোল্ডারটা ওপেন করে দেখি ওখানে MANIFEST.MF নামে একটা ফাইল আর .class এক্সটেনশন যুক্ত কিছু ফাইল! MF ফাইলটাতে ক্লিক করতেই ওটা টেক্সট এডিটরে ওপেন হইছিলো! কিন্তু class ফাইলগুলা ওপেন হচ্ছিলোনা! কিন্তু আমিতো ওপেন করবোই! গুগল! How to open class file... ব্যস! পড়লাম! এক যায়গায় বলা যে টেক্সট এডিটরে হেক্স ফাইল হিসেবে ওপেন করা যায়! করলাম! (Open as অপশন ছিলো)! বেশিরভাগ লেখাই অবোধ্য! কিন্তু... একটা বিষয় আমার মনে লাগলো! সেটা হলো আমি ওই ছোটো app টাতে যেসমস্ত লেখা (মেনু বা টাইটেল এ) দেখছিলাম সেগুলো দেখাচ্ছে! এবং এডিট করার জন্য কার্সরও মুভ করানো যাচ্ছে! নিতান্তই কৌতূহলবশত কিছু লেখা চেঞ্জ করে সেভ দেই! তারপর আবার জিপ করে rename করে .zip কে শুধু .jar করে দেই! তারপর ইন্সটল দিয়ে দেখি... 😱 লেখা চেঞ্জ হইছে! ইয়াহু! 🙌 এখন আমার কৌতূহল গেলো আরও বেড়ে! ওই দুর্বোধ্য লেখাগুলা কি এটা আমাকে বের করতে হবে! আবারও গুগল! (আমি গুগলিং কেন জানি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভালো পারতাম)! অনেক কিছু পড়ার পর, অনেক ঘাঁটার পর বুঝলাম ঘটনা! প্রথম প্রোগ্রামিং এর টার্ম এর সাথে পরিচয়! Compile, Decompile, Bytecode, java file, class file, manifest file, jar file, jad file এসবের সাথে পরিচয়! একদম নিজে নিজেই! (মনোযোগ দিয়ে পড়তাম এবং বুঝার চেষ্টা করতাম) যাইহোক, কিভাবে জানি একটা রাশিয়ান সাইট থেকে compiler/decompiler app ও পেয়ে যাই! হ্যাঁ! ফোন থেকেই ডিকম্পাইল আবার রিকম্পাইলের জাভা এ্যাপ! এরকম একটা class ফাইলকে (জাভা বাইটকোড) java ফাইলে (জাভা সোর্সকোড) এ Decompile করি! এবং java ফাইলটা Text Editor এ ওপেন করি! There you go! জীবনের প্রথম কোড দেখা! জাভা! ☺ কিন্তু ৯৫ % তখন বুঝিনাই! 🙄 বুঝার আকাঙ্ক্ষা! তীব্র আকাঙ্ক্ষা! সেই থেকে শুরু! Journey to the programming world! 😍 গল্পটা এবং পর্বটা শেষ করবো! শেষ করবো প্রোগ্রামিং, সর্বোপরি প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে গিয়ে যে ত্যাগগুলো স্বীকার করতে হইছে সেগুলো দিয়ে! একসময় ওই E72 সেটটা আমার নেশায় পরিণত হয়ে গেছিলো! ইন্টারনেট ইউজ করতে কোনো কোনো দিন ৩০০ টাকা ব্যালেন্স ০ হয়ে যেতো! আমি ইন্ট্রোভার্ট! বাবা মাকেও বুঝাতে পারতামনা বিষয়গুলো! বাবা সাধারণত রাগতোনা! মা রাগতো! প্রচুর! একটা সময় আমাকে আর ফোন ধরতে দিতোনা! কিন্তু... রাতে ফোন চার্জে দিয়ে বাবা মা ঘুমাতো আর আমি মাঝরাতে চোরের মতো গিয়ে ফোন খুলে নিয়ে এসে কাঁথার নিচে শেষরাত পর্যন্ত টিপতাম! শেষরাতে ঘুম ধরতো প্রচুর! এমন অনেক দিন গেছে যেদিন ফোন জায়গামতো চার্জে দিয়ে আসছি কিন্তু চার্জার কানেকশন ভালোমতো না পাওয়ার কারণে চার্জ হতোনা! 😆 কিন্তু একদিন হাতেনাতে মায়ের কাছে ধরা খাই! বাবাও রেগে যায়! ফোনটা আছাড় মারে!
     কিন্তু সেযুগের ফোন! তেমন কিছু হয়নাই! ☺ কিন্তু আমি থামিনি! 🙂
     • ----------------------------------------------------------------------------------
    -------------------------------------------------------------------------------------
    ---------------------------------মূল কাহিনি তে আসা যাক------------------------------------
    আচ্ছা! প্রোগ্রামিং কেনো শিখবো বা কেনো করবো?
    এক কথায় উত্তরঃ সমস্যা সমাধান "করার" জন্য!
    লক্ষ করুন এখানে কিওয়ার্ড হলো "করা"! করা একটি ক্রিয়া বা কাজ নির্দেশ করে!
    জগতে সাধারণত দুইধরণের জিনিশ থাকেঃ ১) বস্তু বা ব্যক্তি ২) তাদের কাজ!
    কিধরনের কাজ সেটা কন্টেক্সট এর উপর নির্ভর করে! যেকোনো কাজ হতে পারে! খাওয়া, হাঁটা, পড়া... যেকোনো কাজ!
    কম্পিউটার যেহেতু একটা বস্তু, তাই এর দ্বারাও আসোলে কাজই করা হয়! হোক সেটা গান শোনা, মুভি দেখা, লেখালেখি করা কিংবা গেম খেলা! কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উদ্দেশ্য মূলত কিভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যায় সেটা!
    ধরেন এই মূহুর্তে আপনার সমস্যা হচ্ছে আপনার ক্ষুধা লেগেছে! সমাধান হচ্ছে খাওয়া! কিন্তু সমাধানটা অতো সোজা নয়! কেননা বাসায় খাবার নাই! কিংবা আপনি বাসার বাইরে যেখানে আশেপাশে কোনো রেস্টুরেন্ট নাই! এখন কি করবেন?
    সাথে স্মার্টফোন আছে! ফুডপান্ডা এ্যাপ ইনস্টল করে দিলেন খাবারের অর্ডার! ২০ মিনিট পর যায়গামতো খাবার এসে হাজির! আহ কি শান্তি! প্রবলেম সলভড!
    স্মার্টফোন একটা কম্পিউটিং ডিভাইস! যাকে পকেট কম্পিউটার বলতে পারেন! আর ফুডপান্ডা এ্যাপটা হলো সেই কম্পিউটারের একটা সফটওয়্যার! যেটার মাধ্যমেই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান করে ফেললেন!
    এই সফটওয়্যার যে ভিতরে ভিতরে আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচুর পরিমাণে কাজ করলো এসবের নির্দেশনা সে কিভাবে পেলো? মানে আপনার সামনে খাবারের লিস্ট হাজির করা, কোন রেস্টুরেন্ট এ ছাড় দিচ্ছে তা বলা, এবং পরিশেষে আপনার বর্তমান ঠিকানায় খাবারের অর্ডার করা - এসব তো আর এমনি এমনিই হচ্ছেনা! আপনি কোনো মানুষকেও কিছু বলেননি! তাহলে?
    আপনার হাতের স্মার্টফোন বা বাসার কম্পিউটার তারা বুদ্ধিমান হলেও তারা আসোলে একটা ইঁটের তুলনায় কোনো অংশেই কম ইউজলেস নয়! কারণ তারা মানুষ বা অন্য প্রাণীদের মতো নিজেদের কনসাশনেস ব্যবহার করে নিজে থেকে কোনোকিছু করতে অক্ষম! এক কথায় তারা মানুষের গোলাম! একদম সুবোধ গোলাম! যা করতে বলবেন ঠিক তাইই করবে! একটুও এদিক ওদিক হবেনা!
    হুঁ! খুব ভালো তো! এরকম গোলাম পাওয়া আসোলেই কপাল!
    কিন্তু এদের এধরণের আচরণে একটা বিশাল সমস্যা আছে! আর সেটা আসোলে ভালো সমস্যা!
    যেহেতু এরা নিজেরা কোনোকিছু নিজে থেকে কখনোই করবেনা, তাই এরা নিজে থেকে সঠিক কাজও করবেনা, ভুলও করবেনা!
    সঠিক ফলাফল সে তখনই দিবে যখন আপনি তাকে সঠিক "উপাদান" এবং সঠিক "নির্দেশনা" দিবেন! ভুল দিলে সেও ভুল ফলাফল দিবে!
    ধরেন আপনি ওই খাবার অর্ডারের সময় কোনোভাবে আপনার ঠিকানাটা দিতে ভুল করেছেন! খাবার সুন্দর করে ওই ভুল যায়গায় চলে যাবে!
    তো এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে কম্পিউটার দিয়ে কোনো সমস্যা সঠিকভাবে সমাধানের জন্য সঠিক উপাদান বা ডাটা এবং সঠিক নির্দেশনা দেওয়াটা আবশ্যক!
    আমি একজন ইন্ট্রোভার্ট মানুষ! সাধারণত মানুষের সাথে মিশতে পারিনা! কিন্তু যদিওবা অপরিচিত অনেকের সাথে মিশতে হয়, কিন্তু প্রায় সবারই আমাকে ভুল বোঝার একটা প্রবণতা থাকে! দোষটা পুরোটাই আমার! আমি নিজেও এটা অনুভব করি! অনেকসময় দেখা যায় বলতে চাই একটা, কিন্তু কথাতে প্রকাশ পাচ্ছে আরেকটা! অথবা কথাটা ambiguous হয়ে যাচ্ছে! তার থেকে ভুল বোঝাবুঝি, কিংবা না বোঝাবুঝি!
    যাইহোক, মোরাল অফ দ্যা স্টোরি হচ্ছেঃ কমিউনিকেশন স্কিল জরুরি! ভাব প্রকাশ সঠিকভাবে করতে পারাটা জরুরী!
    কাউকে দ্বারা কোনো কাজ করিয়ে নিতে চাইলে তো আরও কথাই নেই!
    আর আমাদের ক্ষেত্রে এই কেউ টা হচ্ছে গিয়ে কম্পিউটার!
    অর্থাৎ কম্পিউটারের সাথে কথা বলা শিখতে হবে!
    আর সেজন্যই শিখবো প্রোগ্রামিং! 
    ওকে! পৃথিবীতে মানুষের প্রায় দুই হাজারেরও বেশি ভাষা প্রচলিত আছে! আমাদের বাংলা তেমনই একটা ভাষা! আবার ইংরেজদের জন্য আছে ইংরেজি ভাষা!
    কিন্তু মজার বেপার হচ্ছে সারা পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটার সম্প্রদায়ের ভাষা শুধু এবং শুধুমাত্র একটা! 😃
    হ্যাঁ! এবং সেই ভাষার বর্ণমালায় বর্ণ মাত্র দুইটা, গণিতে অংকও মাত্র দুইটা! ০ আর ১! 😎
    এই ০ আর ১ দিয়েই কম্পিউটার সম্প্রদায় সমস্ত কিছু করে! (ইশ! কতো সাধারণ জিনিশ! 😛)
    আচ্ছা, এই ০ আর ১ এর মানে কি? ০ মানে নাই, ১ মানে ১ আছে! 😜
    হুঁ! কম্পিউটার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস হওয়ায় এ বিদ্যুৎ ছাড়া অচল! (সেজন্য আমার EEE তে পড়া বন্ধুদের কি ভাব! 🙄 ভাগ্যিস আমার ফিজিক্সে পড়া বন্ধুও আছে! 😎)
    যাইহোক, কম্পিউটার আসোলে অসংখ্য ইলেক্ট্রিক সার্কিটের সমন্বয় ছাড়া আর কিছুইনা! এর ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে সার্কিট আছে হৃদয় জুড়ে!😛
    আর সেই সার্কিটে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুতের অনুপস্থিতি নির্দেশ করে ০, আর উপস্থিতি নির্দেশ করে ১!
    বিদ্যুৎ আছে? হ্যাঁ! ১!
    বিদ্যুৎ আছে? না! ০!
    আর বাঁকিসব গণিতের খেল! ম্যাথম্যাটিকস! (এজন্যই আমরা এ্যাপ্লাইড ম্যাথম্যাটিকস! 😎)
    হ্যাঁ! যাকে বলে লজিক্যাল ম্যাথম্যাটিকস! বুলিয়ান এ্যালজেব্রা! (হালকাপাতলা বুলিয়ান এ্যালজেব্রাও শিখবো! পরে! 🙂)
    যাইহোক, মোদ্দাকথা এই ০ আর ১ ছাড়া কম্পিউটার সম্প্রদায় কিচ্ছু বোঝেনা! ইহাই তাহাদের ওয়ান এন্ড অনলি ল্যাঙ্গুয়েজ! 🙂
    বাট ওয়েট! তাহলে সি, সি++, জাভা, পাইথন... এসব কি? 🙄
    পরের পর্বে! 🙂
    Contact with me.
     Stay tuned! 😃
    .থ্যাংকস...।

    1 comment:

    1. Lucky 15 Casino & Hotel | Mapyro
      Lucky 15 여주 출장마사지 Casino & Hotel in Rochester - See all. The casino features a 24 hour front desk 시흥 출장안마 and 부산광역 출장안마 a state-of-the-art 전라남도 출장마사지 casino with 경산 출장샵 5,000 square feet of gaming. Rating: 2.7 · ‎8 votes

      ReplyDelete